স্বলাত শেষের দোয়া সমুহ

ছ্বলাত শেষের দোয়াসমুহ:

রসুলুল্লাহ কখনে পড়েছেন।

رَبِّ قِنِيْ عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ۞

উচ্চারণ: রব্বি ক্বিনী আযাবাকা ইয়াওমা তাবআছু ইবাদাকা।

অর্থ: হে আমার প্রতিপালক! তোমার আযাব হতে আমাকে বাচাও! যেদিন তোমার বান্দাদের তুমি পুনরুত্থান ঘটাবে।  

اَللّٰهُ أَكْبَرُ٬ أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ٬ أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ٬ أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ-

উচ্চারণ: আল্লাহু আকবার, আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ।

অর্থ: আল্লাহ সবার চেয়ে বড়। আমি আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থান করছি।  আমি আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থান করছি। আমি আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থান করছি।

أَللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ٬ تبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَ الْإِكْرَمِ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আংতাস সালামু ওয়া মিংকাস সালামু তাবারকতা ইয়াযালজালালি ওয়াল ইকরম।

অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি শান্তি, আপনার থেকেই আসে শান্তি। বরকতময় আপনি, হে মর্যাদা ও সম্মানের মালিক।

اللّٰهُمَّ إنِّىْ أَسْأَلُكَ بِأَنِّى أَشْهَدُ أَنَّكَ أَنْتَ اللّٰهُ لاَ اِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الأَ حَدُ الصَّمَدُ اللَّزِيْ لَمْ يَلِدْ ولَمْ يُوْلَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা-ইন্নী আসআলুকা বিআন্নী আশহাদু আন্নাকা আংতাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আংতাল আহাঁদুস্ব স্বমাদুল্লাযি লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাঁদ।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট এ বলে প্রার্থনা করছি যে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, নিশ্চয়ই তুমি আল্লাহ, তুমি ব্যতীত প্রকৃত কোন সত্য মাবুদ নেই। ‍তুমি একক ও অভাবমুক্ত। যিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাকেও জন্ম দেয়া হয়নি। আর তার সমতুল্য কেউ নেই।

আল্লাহর রহমতের দোয়া:

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ٬ لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ٬ لاَحَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللّٰهِ – اَللَّهُمَّ أَعِنِّيْ عَلَى ذٍكْرِكَ وَ شُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ ٬  اَللَّهُمَّ لاَ مَنِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ-

উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলক ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদির, লা হাওলা ওয়ালা ক্বুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি। আল্লাহুম্মা আইন্নি আলা ‍যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়াহুসনি ইবাদাতিকা, আল্লাহুম্মা লা মানিআ লিমা আত্বয়তা ওয়ালা মুত্বিয়া লিাম মানাতা ওয়ালা ইয়াংফাউ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু।

অর্থ: নেই কোন উপাস্য  আল্লাহ ব্যতীত, যিনি একক ও শরীকবিহীন। তারই জন্য সকল রাজত্ব ও তারই জন্য যাবতীয় প্রশংসা। তিনি সকল কিছুর উপরে ক্ষমতাশালী। নেই কোন ক্ষমতা, নেই কোন শক্তি, আল্লাহ ব্যতীত। হে আল্লাহ! আপনাকে স্মরণ করার জন্য, আপনার শুকরিয়া আদায় করার জন্য এবং আপনার সুন্দর ইবাদত করার জন্য আমাকে সাহায্য করুন। হে আল্লাহ! আপনি যা দিতে চান, তা রোধ করার কেউ নেই এবং আপনি যা রোধ করেন , তা দেওয়ার কেউ নেই। কোন সম্পদশালী ব্যক্তির সম্পদ কোন উপকার করতে পারে না আপনার রহমত ব্যতীত।

رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَّبِالْإِسْلاَمِ دِيْنًا وَّبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا۞

উচ্চারণ: রদ্বিতু বিল্লাহি রব্বাও ওয়া বিল ইসলামি দিনাও ওয়াবিমুহাম্মাদিন নাবিইয়া। (৩ বার)

অর্থ: আমি সন্ত্তুষ্ট হয়ে গেলাম আল্লাহর উপরে প্রতিপালক হিসাবে, ইসলামের উপরে দ্বীন হিসাবে এবং মুহাম্মাদের উপরে নবী হিসাবে। (রসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন যে ব্যক্তি এই দোয়া পাঠ করবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে)।

اَللَّهُمَّ إِنِّى أَعُوْذُبِكَ مِنَ الْجُبْنِ  وَ أَعُوْذُبِكَ مِنَ الْبُخْلِ وَأَعُوْذُبِكَ مِنْ أَرْذَلِ الْعُمُرِ وَأَعُوْذُبِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا وَ عَذَابِ الْقَبْرِ۞

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল জুবনী ওয়া আউযুবিকা মিনাল বুখলি ওয়া আউযুবিকা মিং আরযালিল উমুরি ওয়া আউযুবিকা মিন ফিতনাতিদ দুনইয়া ওয়া আযাবিল ক্ববর।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি ভীরুতা হতে, আশ্রয় প্রার্থনা করছি, কৃপণতা হতে, আশ্রয় প্রার্থনা করছি নিকৃষ্টতম বয়স হতে এবং আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুনিয়ার ফিৎনা হতে ও কবরের আযাব হতে।  

اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُبِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَلِ۞

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাঝানী ওয়াল আজঝি ওয়াল কাসালি ওয়াল জুবনী ওয়াল বুখলি ওয়া দ্বলাইদ দায়নী ওয়া গলাবাতির রিজালি।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ বেদনা হতে, অক্ষমতা ও অলসতা হতে, ভীরুতা ও কৃপণতা হতে এবং ঋণের বোঝা ও মানুষের যবরদস্তি হতে।

اَللَّهُمَّ إِنِّىْ أَعُوْذُبِكَ مِنْ جَهْدِ الْبَلاَءِ وَدَرَكِ الشَّقَاءِ وَسُوْءِ الْقَضَاءِ وشَمَاتَةِ الْأَعْدَاءِ-

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিন জাহদিল বালাই ওয়া দারকিশ শাক্বই ওয়া সুইল ক্বদ্বই ওয়া শামাতাতিল আদাই।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি অক্ষমকারী বিপদের কষ্ট হতে, দুর্ভোগের আক্রমণ হতে, মন্দ ফায়ছালা হতে এবং শত্রুর খুশি হওয়া থেকে।  

اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُبِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ٬وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ٬ وَجَمِيْعِ سَخَطِكَ-

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিন ঝওয়ালি নিমাতিকা ওয়াতাহাওউলি আফিয়াতিকা ওয়া ফুজাআতি নিক্বমাতিকা ওয়া জামীই সাখত্বিক।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি আমার থেকে আপনার নেমত চলে যাওয়া হতে আপনার দেওয়া সুস্থতার পরিবর্তন হতে আপনার শাস্তির আকস্মিক আক্রমণ হতে এবং আপনার যাবতীয় অসন্তুষ্টি হতে। 

سُبْحَانَ اللّٰهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خْلْقِهِ وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ وَمِدَادَ كَلِمَتِهِ-

উচ্চারণ: সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খলক্বিহি ওয়ারিদ্ব নাফসিহি ওয়াঝিনাতা আরশিহি ওয়ামিদাদা কালিমাতিহ।

অর্থ: মহাপবিত্র আল্লাহ এবং সকল প্রশংসা তার জন্য, তার সৃষ্টিকুলের সংখ্যার সমপরিমাণ, তার সত্তার সন্ত্তুষ্টির সমপরিমাণ এবং তার আরশের ওযন ও মহিমাময় বাক্য সমুহের ব্যাপ্তি সমপরিমাণ।

يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِيْنِكَ٬ اَللَّهُمَّ مُصَرِّفَ الْقُلُوْبِ صَرِّفْ قُلُوْبَنَا عَلَى طَاعَتِكَ-

উচ্চারণ: ইয়া মুক্বল্লিবাল ক্বুলুবি ছাব্বিত ক্বলবি আলা দিনিকা, আল্লাহুম্মা মুছ্বররিফাল ক্বুলুবি ছ্বররিফ ক্বুলুবানা আলা ত্ব আতিকা।

অর্থ: হে হৃদয় সমূহের পরিবর্তনকারী! আমার হৃদয়কে তোমার দ্বীনের উপর দৃঢ় রাখ। হে অন্তর সমূহের রূপান্তরকারী! আমাদের অন্তর সমূহকে তোমার আনুগত্যের দিকে ফিরিয়ে দাও।

اَللَّهُمَّ أَدْخِلْنِى الْجَنَّةَ وَ أَجِرْنِى مِنَرْ النَّارِ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আদখিলনিল জান্নাতা ওয়া আজিরনি মিনার নার  (৭বার)

অর্থ: হে আল্লাহ তুমি আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং জাহান্নাম থেকে পানাহ দাও।

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْهُدَى وَ التُّقَى وَ الْعَفَافَ وَ الْغِنَى۞

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা ওয়াত্ব ত্বুক্ব ওয়াল আফা ফা ওয়াল গিনা।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকটে সুপথের নিদের্শনা, পরহেযগারিতা পবিত্রতা ও স্বচ্ছলতা প্রার্থনা করছি।

اَللَّهُمّ أَجِرْنِى مِنَرْ جَهَنَّمَ ۞

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনার জাহান্নাম (৭বার)

অর্থ: হে আল্লাহ তুমি আমাকে জাহান্নাম থেকে পানাহ দাও।

اَللَّهُمّ أَجِرْنِى مِنَرْ النَّارِ ۞

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনার নার (৭বার)

অর্থ: হে আল্লাহ তুমি আমাকে জাহান্নাম থেকে পানাহ দাও।

اَللَّهُمَّ أَدْخِلْنِى الْجَنَّتُ الْفِرْدَوْسِ۞

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আদখিলনিল জান্নাতুল ফিরদাওস (৩বার)

অর্থ: হে আল্লাহ তুমি আমাকে জান্নাতুল ফেরদাউসে প্রবেশ করাও।  

سُبِحَانَ اللّٰهِ(33)   ٬ اَلْحَمْدُ الِلّٰهِ(33) ٬ اَللّٰهُ أَكْبَرُ (33) ٬

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اَللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ٬  لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ-

উচ্চারণ: সুবহানাল্লাহ (৩৩বার), আলহামদুলিল্লাহ (৩৩বার), আল্লাহু আকবার (৩৩বার), লা ইলাহা ইল্লাল্লহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদির।  

سُبْحَانَ اللّٰهِ وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللّٰهِ الْعَظِيْمِ

উচ্চারণ: সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আযীম। (৩ বার)

ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلۡحَيُّ ٱلۡقَيُّومُۚ لَا تَأۡخُذُهُۥ سِنَةٞ وَلَا نَوۡمٞۚ لَّهُۥ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۗ مَن ذَا ٱلَّذِي يَشۡفَعُ عِندَهُۥٓ إِلَّا بِإِذۡنِهِۦۚ يَعۡلَمُ مَا بَيۡنَ أَيۡدِيهِمۡ وَمَا خَلۡفَهُمۡۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيۡءٖ مِّنۡ عِلۡمِهِۦٓ إِلَّا بِمَا شَآءَۚ وَسِعَ كُرۡسِيُّهُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضَۖ وَلَا يَـُٔودُهُۥ حِفۡظُهُمَاۚ وَهُوَ ٱلۡعَلِيُّ ٱلۡعَظِيمُ٢٥٥

উচ্চারণ: আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল ক্বইয়ুম, লাতা খুযুহু সিনাতুও ওয়ালা নাওম, লাহু মা ফিস সামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্ব, মান যাল্লাযি ইয়াশফাউ ইংদাহু ইল্লা বিইযনিহি, ইয়ালামু মা বায়না আয়দিহিম ওয়ামা খলফাহুম ওয়ালা ইউহিত্বুনা বিশাইয়িম মিন ইলমিহি ইল্লা বিমা শা আ, ওয়াসি আ কুরসিইয়ুহুস সামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ব, ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফয্বুহুমা ওয়া হুওয়াল আলিইয়ুল আয্বিম।

অর্থ: আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক। কোন তন্দ্রা বা নিদ্রা তাকে পাকড়াও করতে পারে না। আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে সবকিছুর তারই মালিকানাধীন। তার হুকুম ব্যতীত এমন কে আছে যে তার নিকটে সুপারিশ করতে পারে? তাদের সম্মুখে ও পিছনে যা কিছু আছে সবকিছুই তিনি জানেন। তার জ্ঞানসমুদ্র হতে তারা কিছুই আয়ত্ত্ব করতে পারে না, কেবল যতুটুকু তিনি দিতে ইচ্ছা করেন। তার কুরসী সমগ্র আসমান ও যমীন পরিবেষ্টন করে আছে। আর সেগুলির তত্ত্বাবধান তাকে মোটেই শ্রান্ত করে না। তিনি সর্বোচ্চ ও মহান।

اَللَّهُمَّ اكْفِنِيْ  بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَ أَغْنِنِىْ بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ-

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাকফিনী বিহালালিকা আন হারমিকা ওয়া আগনিনি বিফাদ্বলিকা আম্মান সিওয়াকা।

অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাকে হারাম ছাড়া হালাল দ্বারা যথেষ্ট করুন এবং আপনার অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে অন্যদের থেকে মুখাপেক্ষীহীন করুন।

অর্থ: মহাপবিত্র আল্লাহ এবং সকল প্রশংসা তার জন্য। মহাপবিত্র আল্লাহ যিনি মহান।

أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ اللَّذِىْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ وَ أَتُوْبُ إِلَيْهِ-

উচ্চারণ: আস্তাগফিরুল্লা হাল্লাযী  লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল ক্বইয়ুম ওয়া আতুবু ইলাইহি।

অর্থ: আমি আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক। আমি অনুতপ্ত হৃদয়ে তার দিকে ফিরে যাচ্ছি বা তওবা করছি।

  أَعُوْذُ بِاللّٰهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّخِيْمِ ۞ بِسْمِ اللّٰهِ  الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ-

উচ্চারণ: আউযু বিল্লাহি মিনাশ শায়ত্বনির রজিম বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

অর্থ: আমি অভিশপ্ত শয়তান হতে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি। পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)

أَعُوْذُ بِاللّٰهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّخِيْمِ ۞ بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ  قُلۡ ہُوَ اللّٰہُ اَحَدٌ ۚ﴿۱﴾ اَللّٰہُ الصَّمَدُ ۚ﴿۲﴾ لَمۡ یَلِدۡ ۬ۙ وَ لَمۡ یُوۡلَدۡ ۙ﴿۳﴾ وَ لَمۡ یَکُنۡ لَّہٗ کُفُوًا اَحَدٌ ٪﴿۴﴾

উচ্চারণ: ক্বুল হওয়াল্লাহু আহাদ আল্লাহুছ্ব ছ্বমাদ, লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ, ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ। (৩ বার)

অর্থ: বলুন, তিনি আল্লাহ এক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।  

أَعُوْذُ بِاللّٰهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّخِيْمِ ۞ بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ  قُلۡ اَعُوۡذُ بِرَبِّ الۡفَلَقِ ۙ﴿۱﴾ مِنۡ شَرِّ مَا خَلَقَ ۙ﴿۲﴾ وَ مِنۡ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ ۙ﴿۳﴾ وَ مِنۡ شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِی الۡعُقَدِ ۙ﴿۴﴾ وَ مِنۡ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ ٪﴿۵﴾

উচ্চারণ: ক্বুল আউযু বিরব্বিল ফালক্ব, মিং শাররিমা খলাক্ব, ওয়া মিং শাররি গসিক্বিন ইযা ওয়াক্বব, ওয়া মিং শাররিন নাফফাছাতি ফিল উক্বদ ওয়া মিং শাররি হাসিদিন  ইযা হাসাদ। (৩ বার)

অর্থ: বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার, তিনি যা, সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে যখন তা সমাগত হয়, গ্রন্থিতে ফুৎকার দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।

أَعُوْذُ بِاللّٰهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّخِيْمِ ۞ بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ  قُلۡ اَعُوۡذُ بِرَبِّ النَّاسِ ۙ﴿۱﴾ مَلِکِ النَّاسِ ۙ﴿۲﴾  اِلٰہِ النَّاسِ ۙ﴿۳﴾ مِنۡ شَرِّ الۡوَسۡوَاسِ ۬ۙ الۡخَنَّاسِ ۪ۙ﴿۴﴾ الَّذِیۡ یُوَسۡوِسُ فِیۡ صُدُوۡرِ النَّاسِ ۙ﴿۵﴾ مِنَ الۡجِنَّۃِ وَ النَّاسِ

উচ্চারণ: ক্বুল আউযু বিরব্বিন নাস, মালিকিন নাস, ইলাহিন নাস, মিং শাররিল ওয়াস ওয়াসিল খন নাস, আল্লাযী ইউওয়াসইসু ফিছ্বুদুরিন নাস, মিনাল জিন্নাতি ওয়ান নাস। (৩বার)

অর্থ: বলুন, আমি আশ্রয় চাই মানুষের পালনকর্তার, মানুষের অধিপতি, মানুষের ইলাহ এর কাছে, তার অনিষ্ট থেকে যে, কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্নাগোপন করে, যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।

সাইয়িদুন ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দোয়া:

اَللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّيْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ٬ أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ٬ أَبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَ أَبُوْءُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْلِىْ فَإِنَّهُ لاَيَغْفَرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ-

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আনতা রব্বি লা ইলাহা ইল্লা আংতা খলক্বতানি ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়াদিকা মাসতাত্বতু, আউযুবিকা মিং শাররিমা ছ্বনাতু আবুউ লাকা বিনিমাতিকা আলাইয়া ওয়া আবুউ বিযামবী ফাগফিরলি ফাইন্নাহু লা ইয়াগফিরুয যুনুবা ইল্লা আংতা।

অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমার পালনকর্তা। তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার দাস। আমি আমার সাধ্যমত তোমার নিকটে দেওয়া অঙ্গীকারে ও প্রতিশ্রুতিতে দৃঢ় আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হতে তোমার নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আমার উপরে তোমার দেওয়া অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমি আমার গোনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা কর। কেননা তুমি ব্যতীত পাপসমূহ ক্ষমা করার কেউ নেই।

اَللَّهُمَّ اغْفِرْلِىْ مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا اَعْلَنْتُ وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّىْ أَّنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لاَ إِلاَّ أَنْتَ-

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগফিরলি মা ক্বদ্দামতু ওয়ামা আখ খরতু ওয়ামা আসররতু ওয়ামা আলানতু  ওয়ামা আংতা আলামু বিহি মিন্নি আংতাল মুক্বদ্দীমু ওয়া আংতাল মুওয়াখখিরু লা ইলাহা ইল্লা আংতা।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি যে সব গুনাহ ইতিপূর্বে করেছি এবং যা পরে করব, সব তুমি মাফ করে দাও। মাফ করে দাও সেই পাপরাশি, যা আমি গোপনে করেছি, আর যা প্রকাশ্যে করেছি। মাফ কর আমার সীমালংঘনজনিত পাপসমূহ এবং সেই সব পাপ, যে পাপ সম্বন্ধে তুমি আমার চেয়ে অধিক জান। তুমি যা চাও, তা আগে কর এবং তুমি যা চাও তা পিছনে কর। তুমি আদি, তুমি অনন্ত। তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবুদ নেই।

يَا حَىُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثُ

উচ্চারণ: ইয়া হাইয়ু ইয়া ক্বইয়ুম বিরহমাতিকা আস্তাগীছু।

অর্থ: হে চিরঞ্জীব! হে বিশ্চরাচরের ধারক! আমি আপনার রহমতের আশ্রয় প্রার্থনা করছি।  

لاَ إِلَهَ اِلاَّ اللّٰهُ-

উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ

অর্থ: নেই কোন উপাস্য আল্লাহ ব্যতীত।

اَللَّهُمَّ إِنِّىْ أَعُوْذُبِكَ مِنْ جَهْدِ الْبَلاَءِ وَدَرَكِ الشَّقَاءِ وَسُوْءِ الْقَضَاءِ وشَمَاتَةِ الْأَعْدَاءِ-

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিন জাহদিল বালাই ওয়া দারিকিশ শাক্বই ওয়া সুইল ক্বদ্বই ওয়া শামাতাতিল আদাই।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি অক্ষমকারী বিপদের কষ্ট হতে, দুর্ভোগের আক্রমণ হতে, মন্দ ফায়ছালা হতে এবং শত্রুর খুশি হওয়া থেকে।  

اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُبِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ٬وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ٬ وَجَمِيْعِ سَخَطِكَ-

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিন ঝওয়ালি নিমাতিকা ওয়াতাহাওউলি আফিয়াতিকা ওয়া ফুজাআতি নিক্বমাতিকা ওয়া জামীই সাখত্বিকা।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি আমার থেকে আপনার নেমত চলে যাওয়া হতে আপনার দেওয়া সুস্থতার পরিবর্তন হতে আপনার শাস্তির আকস্মিক আক্রমণ হতে এবং আপনার যাবতীয় অসন্তুষ্টি হতে।  

اَللّٰهُ اَللّٰهُ   رَبِّي لاَ أُشْرِكُ بِهِ شَيْءًا

উচ্চারণ: আল্লাহ আল্লাহ রব্বি লা উশরিকু বিহি শাইয়ান।

অর্থ: আল্লাহ আল্লাহ আমার প্রতি পালক! আমি তার সাথে কোন কিছুকে শরীক করি না।  

বাচ্চাদের জন্য পরিত্রাণ চাওয়ার দোয়া

اَعُوْذُبِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَّهَامَّةٍ وَّمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ-

উচ্চারণ: আউযু বিকালিমা তিল্লাহিত তাম্মাতি মিং কুল্লি শাইত্বনিও ওয়াহাম্মাতি, ওয়া মিং কুল্লি আইনিল লাম্মাহ।

অর্থ: প্রত্যেক শয়তান হতে আল্লাহর পূর্ণ কালেমা দ্বারা তোমাদের দুজনের জন্য পরিত্রাণ চাচ্ছি। আর পরিত্রাণ চাচ্ছি প্রত্যেক বিষাক্ত কীট হতে এবং প্রত্যেক ক্ষতিকর চক্ষ হতে।

রোগী দেখার দোয়া:

لاَ بَأْسَ طَهُوْرٌ إِنْ شَآءَ اللّٰهُ

উচ্চারণ: লা বাসা ত্বহুরুন ইনশা আল্লাহ।

অর্থ: কষ্ট থাকবে না। আল্লাহ চাহে তো দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন।  

اللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَفِعًا وَرِزْقًا طَيِّبًا وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً-

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফি আ ওয়ারিঝক্বন ত্বইয়িবান ওয়া আমালাম মুতাক্বব্বালা।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট উপকারী বিদ্যা, বৈধ রুযী ও গ্রহণীয় আমল চাচ্ছি।  

اَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التّامَّاتِ مِنْ شَرِّمَا خَلَقَ-

উচ্চারণ: আউযুবি কালিমা তিল্লাহিত তাম্মাতি মিং শাররি মা খলাক্ব।

অর্থ: আমি আল্লাহর পূর্ণ নামের সাহায্যে তার সকল সৃষ্টি অনিষ্ট হতে আশ্রয় চাই।  

اللَّهُمَّ اِنِّىْ أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَ الْعَافِيَةَ فِىْ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ ٬ اللَّهُمَّ اِنِّىْ اَسْأَلُكَ العَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِىْ دِيْنِىْ وَدُنْيَايَ وَاَهْلِىْ وَمَالِىْ٬ اَللَّهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِىْ وَاَمِنْ رَوْعَاتِىْ٬ اَللَّهُمَّ احْفَظْنِىْ مِنْ بَيْنِ يَدَيَّ وَمِنْ خَلْفِيْ وَعَنْ يَمِيْنِى وَعَنْ شِمَالِىْ وَمِنْ فَوْقِىْ وَاَعُوْذُ بِعَظْمَتِكَ اَنْ اُغْتَالَ مِنْ تَحْتِىْ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফওয়া ওয়াল আফিইয়াতা ফিদ দুনিইয়া ওয়াল আখিরতি, আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফওয়া ওয়াল আফিইয়াতা ফিদিনি ওয়াদুনইয়া ওয়া আহলি ওয়া মালী আল্লাহুম্মাসতুর আওয়ারতি ওয়া আমিন রওয়া আতী, আল্লাহুম্মা ফায্বনী মিন বায়নি ইয়াদাইয়া ওয়া মিন খলফি ওয়া আই ইয়ামিনি ওয়া আন শিমালি ওয়া মিন ফাওয়াক্বি ওয়া আউযুবি আয্বমাতিকা আন উগতালা মিন তাহতী।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার দুনিয়া ও আখেরাতের নিরাপত্তা চাই! হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আমার দ্বীন, দুনিয়া পরিবার ও সম্পদের নিরাপত্তা চাই। হে আল্লাহ! তুমি আমার দোষ সমূহ ঢেকে রাখ  এবং ভীতিপ্রদ বিষয়সমূহ থেকে আমাকে নিরাপদে রাখ। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে হেফাযত কর আমার সম্মুখ হতে, ডানদিক হতে, বাম দিক হতে এবং আমার উপর দিক হতে। হে আল্লাহ! আমি তোমার মর্যাদার নিকট আশ্রয় চাই মাটিতে ধ্বসে যাওয়া হতে।

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ الْعظِيْمُ الْحَلِيْمُ ٬ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ٬ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَرَبُّ الْأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِمِ-

উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আয্বীমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রব্বুল আরশিল আয্বীম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রব্বুল আরদ্বি ওয়া রব্বুল আরশিল কারীম।

অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, যিনি মহান যিনি সহনশীল। আল্লাহ  ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, তিনি মহান আরশের প্রতিপালক। আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই. তিনি আকাশ ও পৃথিবীর প্রতিপালক এবং মহান আরশের প্রতিপালক।  

এছাড়া ফযরে ও সন্ধ্যায় পড়তে হবে।

سُبْحَانَ اللّٰهِ وَبِحَمِدِهِ     (১০০ বার)

উচ্চারণ: সুবহানাল্লাহি ওয়া ‍বিহামদিহি। (১০০বার)

অর্থ: আমি আল্লাহর প্রশংসা সহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি।

যে ব্যক্তি তা সকালে (১০০ বার) একশত বার ও বিকালে (১০০ বার) একশত বার বলবে, কিয়ামতের দিন তার চেয়ে বেশি উৎকৃষ্ট কিছু কেউ নিয়ে আসতে পারবে না, তবে সে ব্যক্তি যে তার মত বলবে, বা তার চেয়ে বেশি আমল করবে।

سُبْحَانَ اللّٰهِ الْعَظِيْمِ وَبِحَمِدِهِ  (100বার)

উচ্চারণ: সুবহানাল্লাহিল আযীম ওয়া বিহামদিহি। (১০০বার)

অর্থ: মহাপবিত্র আল্লাহ এবং সকল প্রশংসা তার জন্য যিনি মহান।  

দশটি দাসমুক্তির অনুরূপ ও (১০০ বার) একশত সাওয়াব

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدُهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ٬ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ٬ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ-

উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু লাহুম মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদির।

অর্থ: একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক ইলাহ নেই, তার কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তারই, সমস্ত প্রশংসা ও তার, আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। যে ব্যক্তি এই দোয়া দিনে (১০০ বার) একশত বার বলবে সেটা তার জন্য দশটি দাসমুক্তির অনুরূপ হবে, তার জন্য (১০০) একশত সাওয়াব লিখা হবে, সে দিন বিকাল পযন্ত সেটা তার জন্য শয়তান থেকে বাচার উপায় হিসেবে বিবেচিত হবে; তার কেউ তার মত কিছু নিয়ে আসতে পারবে না। হ্যাঁ সে ব্যক্তি ব্যতীত যে তার চেয়ে ও বেশি আমল করবে।  

চারটি কালেমা সারা সকাল ইবাদতের চেয়েও ওজনে ভারী।

উম্মুল মুমিনিন জুওয়ায়রিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সঃ) প্রত্যুষ তার নিকট থেকে বের হলেন। যখন তিনি ফজরের সালাত আদায় করলেন তখন তিনি সালাতের জায়গায় ছিলেন। এরপর তিনি দুহার পরে ফিরে এলেন। তখনও তিনি বসেছিলেন। নবী (সঃ) বললেন, আমি তোমাকে যে অবস্থায় রেখে গিয়েছিলাম তুমি সেই অবস্থায়ই  আছো? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন নবী (সঃ) বললেন আমি তোমার নিকট থেকে যাওয়ার পর চারটি কালমা তিনবার পাঠ করেছি। আজকে তুমি এ পযন্ত যা বলেছ তার সাথে ওজন করলে এই কালমা চারটির ওজনই বেশি হবে।

أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ اللَّذِىْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ-

উচ্চারণ: আস্তাফিরুল্লা হাল্লাযী লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল ক্বইয়ুম ওয়া আতুবু ইলাইহি। (১০০ বার)

অর্থ: আমি আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্চচরাচরের ধারক। আমি অনতপ্ত হৃদয়ে তার দিকে ফিরে যাচ্ছি বা তওবা করছি।

সকালের যিকর

اللَّهُمَّ بِكَ أَصْبَحْنَا وَبِكَ أَمْسَيْنَا٬ وَبِكَ نَحْيَا٬ وَبِكَ نَمُوتُ وَإِلَيْكَ النُّشُورُ-

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বিকা আস্ববাহনা ওয়াবিকা আমসাইয়ানা, ওয়াবিকা নাহইয়া, ওয়াবিকা নামুতু ওয়া ইলাইকান নুশুর।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমরা আপনার জন্য সকালে উপনীত হয়েছি এবং আপনারই জন্য আমরা বিকালে উপনীত হয়েছি। আর আপনার দ্বারা আমরা জীবিত থাকি, আপনার দ্বারাই আমরা মারা যায়; আর আপনার দিকেই উত্থি হব।  

বিকালের যিকর

اللَّهُمَّ بِكَ أَمْسَيْنَا٬ وَبِكَ أَصْبَحْنَا٬ وَبِكَ نَحْيَا٬ وَبِكَ نَمُوْتُ٬ وَإِلَيْكَ الْمَصِيْرُ-

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বিকা আমসাইয়ানা, ওয়াবিকা আস্ববাহনা, ওয়াবিকা নাহইয়া, ওয়াবিকা নামুতু, ওয়া ইলাইকাল মাস্বির।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমরা আপনার জন্য বিকালে উপনীত হয়েছি এবং আপনারই জন্য আমরা সকালে উপনীত হয়েছি। আর আপনার দ্বারা আমরা জীবিত থাকি, আপনার দ্বারাই আমরা মারা যাব; আর আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তিত হব।  

সকালে বা বিকালে চার বার বলবে

اللَّهُمَّ إِنِّيْ أَصْبَحْتُ (أَمْسَيْتُ) أُشْهِدُكَ٬ وَأُشْهِدُ حَمَلَةَ عَرْشِكَ٬ وَمَلاَءِكَتِكَ٬ وَجَمِيعَ خَلْقِكَ٬ أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ٬ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُكَ وَرَسُولُكَ-

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আস্ববাহতু (আমসাইয়াতু) উশহিদুকা, ওয়া উশহিদু হামালাতা আরশিকা, ওয়া মালাইকাতিকা, ওয়া জামিআ খলক্বিকা, আন্নাকা আংতাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আংতা ওয়াহদাকা লা শারিকা লাকা, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুকা ওয়া রসুলুকা।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি সকালে (বিকালে) উপনীত হয়েছি। আপনাকে আমি সাক্ষী রাখছি, আরও সাক্ষী রাখছি আপনার আরশ বহনকারীদেরকে, আপনার ফেরেশতাগণকে ও আপনার সকল সৃষ্টিকে, (এর উপর) যে নিশ্চয় আপনিই আল্লাহ, একমাত্র আপনি ছাড়া আর কোন হক ইলাহ নেই, আপনার কোনো শরীক নেই, আর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনার বান্দা ও রসুল। যে ব্যক্তি সকালে অথবা বিকালে তা চারবার (৪) বলবে, আল্লাহ তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত করবেন।

 

 

সকালে ও বিকালের শুকরিয়া আদায় এর যিকর

اللَّهُمَّ مَا أَصْبَحَ (أَمْسَى) بِي مِنْ نِعْمَةٍ أَوْ بِأَحَدٍ مِنْ خَلْقِكَ فَمِنْكَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ٬ فَلَكَ الْحَمْدُ وَلَكَ الشُّكْرُ-

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা মা  আস্ববাহা (আমসা) বি মিন নিমাতি আওয়া বিআহাদিম মিন খলক্বিকা ফামিনকা ওয়াহদাকা লা শারিকা লাকা ফালাকাল হামদু ওয়ালাকাশ শুকুর।

অর্থ: হে আল্লাহ! যে নেয়ামত আমার সাথে সকালে (বিকালে) উপনীত হয়েছে, অথবা আপনার সৃষ্টির অন্য কারও সাথে; এসব নেয়ামত কেবলমাত্র আপনার নিকট থেকেই; আপনার কোনো শরীক নেই। সুতরাং সকল প্রশংসা আপনারই। আর সকল কৃতজ্ঞতা আপনারই প্রাপ্য। যে ব্যক্তি সকালবেলা উপরোক্ত দোয়া পাঠ করলো সে যেন সেই দিনের শুকরিয়া আদায় করলো। আর যে ব্যক্তি বিকালবেলা এ দোয়া পাঠ করলো সে যেন রাতের শুকরিয়া আদায় করলো।  

দুনিয়া ও আখেরাতের সকল চিন্তাভাবনার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট হবেন। সাত বার বলবে

حَسْبِيَ اللّٰهُ لَاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمَ-

উচ্চারণ: হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুওয়া রব্বুল আরশিল আয্বিম।

অর্থ: আল্লাহ আমার জন্য যথেষ্ট। তিনি ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই। তার প্রতিই আমি ভরসা রাখি। আর তিনি মহান আরশের প্রতিপালক।  

بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ-

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহিল্লাযী লা ইয়াদ্বুররু মা আসমিহি শাইউন ফিল আরদ্বি ওয়ালা ফিসসামাই ওয়াহুয়াস সামীউল আলিম। (৩ বার)

অর্থ: আল্লাহর নামে যার নামের সাথে আসমান ও যমীনে কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। আর তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।  

اَللَّهُمَّ عَافِنِىْ فِىْ بَدَنِىْ اَللَّهُمَّ عَافِنِىْ فِىْ سَمْعِيْ اَللَّهُمَّ عَافِنِىْ فِىْ بَصْرِيْ لاَ اِلَهَ اِلاَّ انْتَ-

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাদানি আল্লাহুম্মা আফিনি ফি সামই আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাস্বরি লা ইলাহা ইল্লা আংতা। (৩ বার)

অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমার শরীরে নিরাপত্তা দান কর, আমার শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে নিরাপত্তা দান কর এবং আমার দৃষ্টিশক্তিতে নিরাপত্তা দান কর।  

يَا حَىُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثُ

উচ্চারণ: ইয়া হাইয়ু ইয়া ক্বইয়ুম বিরহমাতিকা আস্বতাগিছু ।

অর্থ: হে চিরঞ্জীব! হে বিশ্বচরাচরের ধারখ। আমি আপনার রহমতের আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

يَا ذَى الْخَلٰلِ وَالْاِكْرَامِ

উচ্চারণ: ইয়া যিল জালালি ওয়াল ইকরম।  

অর্থ: মাহাত্ন্য ও সম্মানের অধিকারী তোমার প্রতিপালকের নাম বড়ই কল্যাণময়।

سُبْحَنَ الْلمَلِكِ الْقُدُّوْسِ

উচ্চারণ: সুবহানাল মালিকিল কুদুস্ব।

অর্থ: পবিত্র বাদশার পবিত্রতা বর্ণনা করছি।

لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّۃَ إِلَّا بِللّٰهِ

উচ্চারণ: লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।

অর্থ: আল্লাহ তা আলার শক্তি সামর্থ ছাড়া কারো কোন নিজস্ব শক্তি সামর্থ নেই।

اَللّٰهُمَّ اكْفِنِيهِمْ بِمِا شِىْتَ

উচ্চারণ: আল্ল-হুম্মাকফিনিহিম বিমা শীতা

অর্থ: হে আল্লাহ! আপনার যা ইচ্ছা তা দ্বারাই এদের মোকাবেলায় আমার জন্য যথেষ্ট হোন।

اللَّهُمَّ إِنَّا نجْعَلُكَ فِىْ نُحُوْرِهِمْ وَنَعُوْذُبِكَ مِنْ شُرُوْرِهِمْ-

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফি নুহুরিহিম ওয়া নাউযুবিকা মিং শুরুরিহিম।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমরা তোমাকে তাদের সম্মুখে করলাম, ‍তুমিই তাদের দমন কর। আর তাদের অনিষ্ট হতে তোমার নিকট আশ্রয় চাই।  

رَبَّنَا اَتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَهً وَفِي ا ْلاَخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ۞

উচ্চারণ: রব্বানা আতিনা ফিদদুনইয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরতি হাসানাতাও ওয়া ক্বিনা আযাবান নার।

অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকাল ও পরকালে কল্যাণ দান কর এবং জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাচাও।

رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ-

উচ্চারণ: রব্বানা য্বলামনা আংফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফির লানা ওয়াতারহামনা লানাকুনান্না মিনাল খসিরিন।

অর্থ: হে আমাদের রব, আমরা নিজেদের উপর যুলম করেছি। আর যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদেরকে দয়া না করেন তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তভূর্ক্ত হব।

لَا إِلٰهَ إِلَّا اَنْتَ سُبْحَنَكَ  إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ

উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লা আংতা সুবহানাকা ইন্নী কুংতু মিনায য্বলিমিন।

অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করি। নিশ্চয়ই আমি অপরাধী।

اَللَّهُمَّ إِنِّىْ أَعُوْذُبِكَ مِنْ جَهْدِ الْبَلاَءِ وَدَرَكِ الشَّقَاءِ وَسُوْءِ الْقَضَاءِ وشَمَاتَةِ الْأَعْدَاءِ-

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিন জাহদিল বালাই ওয়া দারকিশ শাক্বই ওয়া সুইল ক্বদ্বই ওয়া শামাতাতিল আদাই।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি অক্ষমকারী বিপদের কষ্ট হতে, দুর্ভোগের আক্রমণ হতে, মন্দ ফায়ছালা হতে এবং শত্রুর খুশি হওয়া থেকে।  

اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُبِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ٬وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ٬ وَجَمِيْعِ سَخَطِكَ-

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিন ঝওয়ালি নিমাতিকা ওয়াতাহাওউলি আফিয়াতিকা ওয়া ফুজাআতি নিক্বমাতিকা ওয়া জামীই সাখত্বিক।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি আমার থেকে আপনার নেমত চলে যাওয়া হতে আপনার দেওয়া সুস্থতার পরিবর্তন হতে আপনার শাস্তির আকস্মিক আক্রমণ হতে এবং আপনার যাবতীয় অসন্তুষ্টি হতে। 

اَللّٰهُ اَللّٰهُ رَبِّي لاَ أُشْرِكُ بِهِ شَيْءًا

উচ্চারণ: আল্লাহ আল্লাহ রব্বী লা উশরিকু বিহি শাইয়ান।

অর্থ: আল্লাহ আল্লাহ আমার প্রতিপালক! আমি তার সাথে কোন কিছুকে শরীক করি না।

কোরআনী দোয়া:

رَّبِّ أَدۡخِلۡنِي مُدۡخَلَ صِدۡقٖ وَأَخۡرِجۡنِي مُخۡرَجَ صِدۡقٖ وَٱجۡعَل لِّي مِن لَّدُنكَ سُلۡطَٰنٗا نَّصِيرٗا٨٠

উচ্চারণ: রব্বি আদখিলনি মুদখলা স্বিদক্বও ওয়া আখরিজনি মুখরজা স্বিদক্বও ওয়া  আজ আললী মিল্লাদুনকা  সুলত্বনান নাস্বির।

اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْفَقْرِ وَاْلقِلَّتِ وَالْذِّلَّتِ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ أَنْ أَظْلِمَ أَوْأُوْظْلَمَ

উচ্চারণ: আল্ল-হুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল ফাক্বরি ওয়াল ক্বিল্লাতি ওয়ায যিল্লাতি ওয়া আউযুবিকা মিন আন আযলিমা আও উযলামা।

অর্থ: হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট অভাব, স্বল্পতা ও অপমান হতে  আশ্রয় চায়, আরো আশ্রয় চায় অত্যাচার করা ও অত্যাচার হওয়া থেকে।

 

بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ-

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহিল্লাযী লা ইয়াদ্বুররু মা আসমিহি শাইউন ফিল আরদ্বি ওয়ালা ফিসসামাই ওয়াহুয়াস সামীউল আলিম।

অর্থ: আল্লাহর নামে যার নামের সাথে আসমান ও যমীনে কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। আর তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।  

 

اَللَّهُمَّ اغْفِرْلِىْ مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا اَعْلَنْتُ وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّىْ أَّنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لاَ  إِلٰهَ إِلاَّ أَنْتَ-

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগফিরলী মা ক্বদ্দামতু ওয়ামা আখখরতু ওয়ামা আসররতু ওয়ামা আলাংতু ওয়ামা আংতা আলামু বিহি মিন্নি আংতাল মুক্বদ্দিমু ওয়া আংতাল মুওয়াখখিরু লা ইলাহা ইল্লা আংতা।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি যে সব গুনাহ ইতিপূর্বে করেছি এবং যা পরে করব, সব তুমি মাফ করে দাও। মাফ করে দাও সেই পাপরাশি, যা আমি গোপনে করেছি, আর যা প্রকাশ্যে করেছি। মাফ কর আমার সীমালংঘনজনিত পাপসমুহ এবং সেই সব পাপ, যে পাপ সম্বন্ধে তুমি আমার চেয়ে অধিক জান। তুমি যা চাও, তা আগে কর এবং তুমি যা চাও তা পিছনে কর। তুমি আদি, তুমি অন্ত।

اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى ذِكْرِكَ٬ وَشُكْرِكَ٬ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ-

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আইন্নী আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা, ওয়া হুসনী ইবাদাতিকা।

অর্থ: হে আল্লাহ! আপনার ‍যিকর করতে, আপনার শুকরিয়া জ্ঞাপন করতে এবং সুন্দরভাবে আপনার ইবাদত করতে আমাকে সাহায্য করুন। 

اللّٰهُمَّ إنِّىْ أَسْأَلُكَ بِأَنِّى أَشْهَدُ أَنَّكَ أَنْتَ اللّٰهُ لاَ اِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الأَ حَدُ الصَّمَدُ اللَّزِيْ لَمْ يَلِدْ ولَمْ يُوْلَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা-ইন্নী আসআলুকা বিআন্নী আশহাদু আন্নাকা আংতাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আংতাল আহাঁদুস্ব স্বমাদুল্লাযি লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাঁদ।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট এ বলে প্রার্থনা করছি যে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, নিশ্চয়ই তুমি আল্লাহ, তুমি ব্যতীত প্রকৃত কোন সত্য মাবুদ নেই। ‍তুমি একক ও অভাবমুক্ত। যিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাকেও জন্ম দেয়া হয়নি। আর তার সমতুল্য কেউ নেই।

 

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ الْعظِيْمُ الْحَلِيْمُ ٬ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ٬ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَرَبُّ الْأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِمِ-

উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আয্বীমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রব্বুল আরশিল আয্বীম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রব্বুল আরদ্বি ওয়া রব্বুল আরশিল কারীম।

অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, যিনি মহান যিনি সহনশীল। আল্লাহ  ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, তিনি মহান আরশের প্রতিপালক। আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই. তিনি আকাশ ও পৃথিবীর প্রতিপালক এবং মহান আরশের প্রতিপালক।